এম সাইফুল ইসলাম শাফলু: আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠছে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ছোট বড় ১৫ টি পশুর হাট। ওইসব হাটে পশু কেনা বেচায় সরব হয়ে উঠছেন ক্রেতা বিক্রেতা । ভারতীয় গরু বাজারে অতটা লক্ষ করা যায়নি। যার ফলে গত বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম অনেক বেশি। এতে লাভের আশা ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় খামারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, কামালিয়াচালা, তক্তারচালা, দেওদিঘী, নাকশালা, কচুয়া, বড়চওনা,কুতুবপুর, বহেড়াতৈল, কালিদাস হাটসহ উপজেলায় প্রতিটি কোরবানির হাটে নির্দিষ্ট দিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাক যোগে গরু ছাগল আনা হচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাজারগুলোতে কোরবানি পশুতে হাটের আনাচে কানাচে পূর্ণ হয়ে যায়। ছোট বড় মাঝারি সব ধরনের গবাদি পশু এসব বাজারে পাওয়া যায়। হাটে ২৫ হাজার থেকে শুরু করে আট লাখ টাকা মূল্যের গরু দেখা গেছে। অন্যদিকে, দেশী ছাগল ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং ২০হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাম ছাগল লক্ষ্য করা গেছে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর কোরবানির পশুর দাম তুলনামূলক বেশ বেশী। পশুর বাজারকে কেন্দ্র করে প্রতিটি বাজারে গড়ে উঠেছে জাল টাকার ব্যবসা। পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি, পকেটমার এবং প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন অনেক সাধারণ মানুষ। তবে হাটে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জাল টাকা সনাক্তে সরকারিভাবে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপারী ও ক্রেতা সাধারণের মাঝে দেখা গেছে উদ্বেগ উৎকণ্ঠ।
এ ব্যাপারে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান বলেন, হাট-বাজারগুলোতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন বসানোর চেষ্টা চলছে। এছাড়াও ব্যবসায়ীসহ ক্রেতা বিক্রেতারা যেন কোন ধরনের হয়রানির স্বীকার না হন সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে।