এম সাইফুল ইসলাম শাফলু:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাত যুবকের (৩৫) অর্ধ্বগলিত লাশের পরিচয় মিলেছে। সে জামালপুর জেলার সৈয়দ আলীর ছেলে মেজু আহমেদ। বুধবার রাতে তাঁর স্ত্রী হেনা আক্তার (২৭) সখীপুর থানায় এসে পায়ের জুতা ও জামা কাপড় দেখে লাশটি শনাক্ত করেন। নিহত মেজু আহমেদ পরিবার নিয়ে ঢাকার আশুলিয়া জামগড়া এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি পেশায় পোল্ট্রি মুরগীর ব্যবসায়ী ছিলেন। সখীপুর থেকে পোল্ট্রি মোরগী নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতেন।
পুলিশ ও নিহত মেজু আহমেদের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত ২০ আগস্ট মেজু আহমেদ ব্যবসায়ীক কাজে প্রায় ২ লাখ টাকা নিয়ে আশুলিয়ার বাসা থেকে বের হন। রাতেও বাসায় না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে ওই রাতেই তাঁর স্ত্রী হেনা আক্তার আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের তিনদিন পর ২৩ আগস্ট বুধবার টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ঘোনারচালা এলাকার ঢাকা-সাগরদিঘী সড়কের পাশে একটি প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর মেজু আহমেদের অর্ধ্বগলিত লাশ পাওয়া যায়। ওইদিনই সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা করেন। পরে রাতে মেজু আহমেদের স্ত্রী হেনা আক্তার সখীপুর থানায় এসে লাশ শনাক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মেজু আহমেদের শ্যালক সাগর আহমেদ জানান, ‘আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ আমাদের মামলা নেয়নি। তারা সখীপুর থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন।’
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) মুজিবুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ময়না তদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান।’