নিজস্ব প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের সখীপুরে তিন গরু চোরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। এক পর্যায়ে উত্তেজিত গ্রামবাসী চোরদের ওই ট্রাকে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে উপজেলার কালমেঘা সুন্দলা পাড়া গ্রামে। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ওই তিনচোরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে বুধবার বিকেলেই ভালুকা থানার পুলিশ ওই তিন চোরকে সখীপুর থানা থেকে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভালুকা থানায় মামলা হয়েছে।
গণপিটুনি খাওয়া ওই তিনজন চোর হচ্ছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার রবিউল ইসলামের ছেলে মোবারক হোসেন (২৫), ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মামারিশপুরের রায়হান মিয়া (২৫) ও একই উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের শামসুল ডাক্তারের ছেলে শাকিল আহমেদ (২৪)।
ট্রাকের মালিক ও চোর দলের নেতা ডাকাতিয়া গ্রামের আজগর আলী ডাক্তারের ছেলে শাহীন মিয়া (৩০) কৌশলে পালিয়ে গিয়ে গণপিটুনি থেকে রক্ষা পায় বলে পুলিশ জানায়।
সখীপুর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই চোরদল গত মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের হাসান আলী ও নজরুল ইসলামের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে দুটি ষাঁড়গরু চুরি করে ট্রাকযোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় সখীপুর উপজেলার কালমেঘা সুন্দলাপাড়া পৌঁছালে চোরদের ট্রাক কাদা রাস্তায় ফেঁসে যায়। রাস্তার ওই খানাখন্দক থেকে ট্রাকটি তোলার চেষ্টা করার সময় আজ সকাল সাতটার দিকে গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। দুটি ষাঁড়গরু কোন হাট থেকে কিনেছেন গ্রামবাসীর এমন প্রশ্নে চোরেরা উল্টা-পাল্টা উত্তর দিতে থাকে। এসময় ট্রাকের মালিক ও চালক শাহীন মিয়া (৩০) হাট থেকে গরু কেনার রশিদ আনার কথা বলে পালিয়ে যায়। পরে উত্তেজিত গ্রামবাসী বাকি তিন চোরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত গ্রামবাসী ওই ট্রাকে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিরিয়া সেলিম গরু চোরদের গণপিটুনি ও চোরের ট্রাক পুড়িয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, গরু চুরির ঘটনা ময়মনসিংহের ভালুকা থানা এলাকায় হওয়ায় ওই থানায় মামলাটি দায়ের হবে। গতকাল বুধবার বিকেলে ভালুকা থানার পুলিশ ওই তিন চোরকে নিয়ে যায়।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।