এম সাইফুল ইসলাম শাফলু:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ধর্ষক আবুল হাসেম লিটনের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার উপজেলার বড়চওনা বাজারে দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হয়ে ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বড়চওনা উচ্চ বিদ্যালয়, বড়চওনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্টুডেন্টস্ কেবিনেট, বড়চওনা বাজার বণিক সমিতি, দারিপাকা বাজার বণিক সমিতিসহ এলাকার সর্বসাধারণ অংশ নেন। মানববন্ধনে জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক কালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার লালের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ছবুর রেজা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি একে ফজলুল হক, বড়চওনা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, বড়চওনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাল মিয়া, সহকারি শিক্ষক আতিকুল হক ছমির, স্থানিয় ইউপি সদস্য মিজানুর মিয়া, স্টুডেন্টস্ ক্যাবিনেট সদস্য ওয়াহেদুজ্জামান, লায়লা আক্তার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গত: গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কালিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বড়চওনা গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে দুই সন্তানের জনক আবুল হাসেম লিটনের বাড়িতে বেড়াতে গেলে জোরপূর্বক নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং কৌশলে তার মুঠোফোনে ওই ধর্ষণের চিত্র ভিডিও ধারণ করে রাখে। ভিডিওটি ইন্টারনেটে (ফেসবুকে) ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই বখাটে আরও একাধিকবার ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্ত:সত্তা হয়ে পড়ে। পরে তাকে গত ২৩ আগস্ট স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হয়। চিকিৎসক ধর্ষিতা ওই মেয়েটি ১৯ সপ্তাহের গর্ভবতী বলে জানান।
এ ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক আবুল হাসেম লিটনকে একমাত্র আসামি করে সখীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ১০ সেপ্টেম্বর রোববার বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইল জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারিক হাকিম আমিনুল ইসলাম ধর্ষক আবুল হাসেম লিটনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।