সখীপুরে বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ

0
406

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ  টাঙ্গাইলের সখীপুরের নলুয়া বাছেত খান উচ্চবিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী (দারোয়ান) আরিফ মিয়ার (২৪) বিরুদ্ধে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ওই নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে এক ছাত্রীর বিদ্যালয় অঙ্গণে করা টিকটক ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় আরিফের বিচার দাবি করে বিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আজ রবিবার থেকে অভিযোগের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাবনা জেলার বাসিন্দা আরিফ মিয়া প্রায় পাঁচ বছর ধরে উপজেলার নলুয়া বাছেত খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সেই পরিচয়ে বছর খানেক আগে ওই বিদ্যালয়ে নিরাপত্তারক্ষী (দারোয়ান) পদে চাকরি নেন আরিফ। প্রায় মাস ছয়েক ধরে আরিফের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করাসহ কিছু ছাত্রীদের সঙ্গে টিকটক ভিডিও করার অভিযোগ উঠে। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের ইউনিফর্ম পরা ছাত্রীর সঙ্গে আরিফের এক টিকটক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিলেও আরিফ প্রধান শিক্ষকের বাসায় ভাড়া থাকায় অভিযোগটি আমলে নেননি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের ভোটে নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য বাবুল দেওয়ান বলেন, আরিফ প্রধান শিক্ষকের বাসায় ভাড়া থাকেন ও বাসাটি পাহারা দেন। অভিযুক্ত আরিফের তদন্তের ভার ওই প্রধান শিক্ষকের কাছে দেয়া ঠিক হয়নি।  আমরা এ  তদন্ত কমিটি মানি না।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও যাদবপুর ইউপি চেয়ারম্যান একেএম আতিকুর রহমান আতোয়ার  বলেন, শিক্ষার্থীরা ইউএনওর কাছে অভিযোগ দেওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করার জন্য প্রধান শিক্ষককে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি করে দিয়েছি। কমিটি আজ রবিবার থেকে কাজ শুরু করবেন।

প্রধান শিক্ষক ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ছেলে হিসেবে আরিফ খুব ভালো । হয়তো সে কোন ষড়যন্ত্রের শিকার।  তারপরো আরিফ অপরাধী প্রমাণিত হলে তাকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

আরিফ মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে  সে জানায়,  স্কুলের একজন মেয়ের অনুরোধে আমি ওই টিকটকে অংশ নিয়েছিলাম।  ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে বলে শুনেছি। আমি কোনো ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করিনি। আমি নিয়োগ পাওয়ার পর খেকেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি ।

সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম বলেন, অভিযোগ পেয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।