ওই মসজিদের ইমাম হাফেজ সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘ওই পোস্টারে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার নাম নেই। নেতার নাম না থাকায় মসজিদ উন্নয়নে করা ওয়াজ মাহফিল বন্ধ হওয়া, এটা কেয়ামতের আলামত। আমার কাছে অনেক মুসল্লি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।’
বেলতলী বাজার মসজিদ কমিটির সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, এমনিতেই মসজিদের কোনো টাকা নেই। মাহফিলের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে তোরণ, পোস্টার, ডেকোরেশন ও বক্তাদের অগ্রিম সম্মানীসহ আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। ওয়াজ মাহফিল সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলে অন্তত পাঁচ লাখ টাকা আয় হতো। ওই নেতার কারণে মসজিদের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হলো।
উপজেলা বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নূরে আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এটা খুবই দুঃখজনক।’
খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই মসজিদ শুধু আমার ইউনিয়নে নয় বরং আমার ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। প্রচারপত্রে আমার নাম না থাকায় সম্মানহানি হয়েছে। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা মসজিদ কমিটির লোকজনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন। ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হলে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে আমি মাহফিল স্থগিত করার জন্য বলেছি।’