এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রেমিক আশিক ও তাঁর বন্ধু কর্তৃক অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার নলুয়া বাজার এলাকায় মোস্তাফিজের বাসায় এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতার বাড়ি বাসাইল উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামে । সে ডুমনি বাড়ি উচচ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার তিনদিন পর শনিবার সকালে অভিযুক্ত সখীপুর উপজেলার কালিয়ান গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে প্রেমিক আশিক, আশ্রয়দাতা নলুয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী ইতি বেগমের বিরুদ্ধে বাসাইল থানায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতার দায়ে নামে মামলা করেছে ধর্ষিতা। শনিবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে মেয়েটি মানষিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে।
মেয়েটির পারিবারিক সূত্র জানা যায়, গত ১ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে স্কুল ছুটির পর কথিত প্রেমিক সখীপুর উপজেলার কালিয়ান গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আশিক তাকে নলুয়ার মুস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বাসায় বেড়াতে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আাসলে আশিকের কয়েকজন বন্ধু ওই বাসায় আসে। এক পর্যায়ে মেয়েটির হাত মুখ ঁেবধে সারারাত পালাক্রমে প্রেমিক আশিক ও তাঁর বন্ধুরা জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় বুধবার বিকেলে দেলদুয়ার উপজেলার পেরাকজানী গ্রামে মেয়েটির এক আত্মীয়র বাড়ির সামনে তাকে ফেলে রেখে চলে আসে আশিক ও তার বন্ধুরা। পরে ওই মেয়ের বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে বুধবার রাতে তাঁর বাড়ি বাসাইল উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামে নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে মেয়েটির মা বলেন, ঘটনার পর থেকে আমার মেয়ে মানষিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে সে এখন প্রায় বাকরুদ্ধ। আমার মেয়ের নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এ ব্যপারে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, ঘটনা সখীপুরে হলেও মেয়েটির বাড়ি বাসাইল থানায় হওয়ায় মামলাটি বাসাইল থানায় করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাসাইল থানার ওসি নূরুল ইসলাম খান জানান, এ ঘটনায় শনিবার সকালে আশিক (১৮) কে মুল আসামী এবং মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী ইতি বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।