সখীপুরে ফুপার বিরুদ্ধে ভাতিজীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ

0
127

নিজস্ব প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে আপন ফুপার বিরুদ্ধে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাতিজীকে অপহরণের পর তিন মাস ১৪ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। অপহরণের তিন মাস ১৪ দিন পর গত সোমবার (২৯) জুলাই মেয়েটিকে উদ্ধার ও ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার মুচারিয়া পাথার গ্রামের জয়বাংলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা লাল ভানু বাদী হয়ে সখীপুর থানায় ধর্ষক পল্লয় খান ওরফে মানিককে (২৫) একমাত্র আসামি করে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেছেন। মঙ্গলবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত মানিককে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল সকাল ৯টায় স্থানীয় জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেড় হয়। পথিমধ্যে তারই আপন ফুপা নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার গোহালকান্দা গ্রামের মৃত সোবহান খানের ছেলে পল্লয় খান ওরফে মানিক খান মেয়েটিকে জোরপূর্বক মাইক্রোতে তুলে নেয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা লাল ভানু সখীপুর থানায় ডায়েরি করলে তিন মাস ১৪ দিন পর ২৯ জুলাই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নেত্রকোনা থেকে অপহৃতা মেয়েটিকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী মানিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মেয়েটি মানিকের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ আনে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ওমর ফারুক বলেন- অপহরণকারী মানিক সম্পর্কে মেয়েটির আপন ফুপা।সে ওই বাড়িতে থেকেই পার্শ্ববর্তী একটি বাজারে ইলেকট্রিকের যন্ত্রাংশ মেরামতের কাজ করত। অপহরণের তিনমাস ১৪ দিন পর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অপহৃতা স্কুল ছাত্রী উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন এবং গ্রেফতারকৃত মানিককে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।