নিউজ ডেস্ক: সখীপুরে ব্যবসায়ী রুবেল হত্যাকাণ্ডের সাড়ে চারমাস পর মেয়েসহ প্রধান আসামি মোন্তাজ আলীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কালমেঘা রিসোর্টের সামনে থেকে বাপ-মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে পুলিশ এ মামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমান (৩০) ও তার বাবা লাল মিয়াকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন উপজেলার আড়াইপাড়া গ্রামের মৃত আবদুর রহিমের ছেলে মোন্তাজ আলী (৫০) ও মোন্তাজের মেয়ে লিপি আক্তার (২৫)। মীমাংসার কথা বলে তাদের ডেকে এনে কৌশলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিম উদ্দিন জানান, প্রধান আসামি মোন্তাজ আলী ও তার মেয়ে সিলেট ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। মামলাটি আপোষ-মীমাংসা করে দেবে এমন কথা বলে পুলিশের সোর্সের মাধ্যমে বাবা-মেয়েকে উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার কালমেঘার একটি রিসোর্টে আসতে বলা হয়। মীমাংসার আশ্বাস পেয়ে ওই স্থানে এলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবার সকালে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে ওই দুজন আসামিকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর দুপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে উপজেলার আড়াইপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে রুবেলকে (৩২) প্রতিপক্ষরা পিটিয়ে খুন করেন। নিহত রুবেল সখীপুর বাজারে গার্মেন্টেসের দোকান করত। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহত রুবেলের ছোটভাই রাসেল মিয়া বাদী হয়ে ১০জনকে আসামি করে সখীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।