মঙ্গলবার, মার্চ ২৮, ২০২৩
Homeজাতীয়সখীপুরে লোকসানের ভয়ে সড়ক সংস্কার করছেন না ঠিকাদার; চলাচলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ

সখীপুরে লোকসানের ভয়ে সড়ক সংস্কার করছেন না ঠিকাদার; চলাচলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ

এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টাঙ্গাইলের সখীপুর- গারোবাজার ৩০ কিলোমিটার সড়কের পাঁচবছর মেয়াদে সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সঙ্গে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চুক্তি হলেও লোকসানের ভয়ে রাস্তা সংস্কারে কাজ করছেন না ঠিকাদার। ফলে চলতি বর্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে সৃষ্ট খাদে প্রতিদিন যানবাহন ফেঁসে যানজট বাড়ছে। বাড়ছে যাত্রীদের দুর্ভোগ।
ওই সড়কে সৃষ্ট বড় বড় গর্তে প্রতিদিন বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য ভারি যানবাহন ফেঁসে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীরা।
ঠিকাদার বলছেন, অতিবৃষ্টির কারণে ওই সড়কের ছোট ছোট গর্তগুলো ভেঙ্গে খাদের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রাক্কলন ব্যয়ের সঙ্গে বর্তমান প্রাক্কলনের ব্যায়ের মিল না থাকায় ওই কাজে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। যার ফলে ওই সড়ক সংস্কারে আমরা কাজ শুরু করতে পারছি না।
স্থানীয় এলজিইডি কার্যালয় সূত্র জানা যায়, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে সখীপুর-গারোবাজার ৩০ কিলোমিটার সড়কের আগামী পাঁচ বছর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৪ মে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে নয় কোটি ৩৪ লাখ টাকার এ কাজটি পায় হক ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ওই সড়কের বাস চালক তারেক আহমেদ বলেন, সড়কের অশংখ্য স্থানে বড় বড় গর্ত হয়েছে। ওই গর্তে প্রতিদিনই কোনো না কোন যানবাহন ফেঁসে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে পড়ছে যাত্রীরা।
ওই সড়কে চলাচলকারী কাচামাল ব্যবসায়ী লতিফ মিয়া বলেন, আমাকে সড়কটি দিয়ে প্রতি সপ্তাহে ৫-৬ ট্রাক সবজি নিয়ে ঢাকা শহওে যেতে হয়। রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় পরিবহন ফেসে যায়। পরিবহন ব্যয় বেড়েছে আবার অনেক সময় কাচামাল আটকে পচে নষ্ট হচ্ছে।
ঠিকাদার সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য গোলাম কিবরিয়া বাদল বলেন, ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ায় ওই সড়ক আগের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই সড়কের দরপত্রে যে প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছিল বর্তমান রাস্তার প্রাক্কলনের সঙ্গে মিল নেই। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, সখীপুর টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ওই কাজের প্রাক্কলন ব্যয় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদন মঞ্জুর হলে কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ কুদ্দুস বলেন, ওই সড়কে প্রতিদিন রাস্তায় গাড়ি ফেঁসে যাচ্ছে। সবাই ফোন করে আমাকে বকাঝকা করে। কিন্তু ঠিকাদার কাজ করছেন না। তবে তিনি স্বীকার করেন, অতি বৃষ্টিতে আগের চেয়ে রাস্তা আরও বেশি ভেঙে গেছে।

 

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -