নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: সখীপুরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এবং সরকারি তথ্য ও সেবা ৩৩৩ এ ফোন দিয়ে নিজেদের বাল্যবিয়ে ঠেকিয়েছে তিন ছাত্রী। ফলে তারা অনিবার্য বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষাও পেয়েছে।
শুক্রবার উপজেলার তিনটি গ্রামে ওই তিন ছাত্রীর বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। এদিন গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ওই তিন ছাত্রীকে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা করে।
উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে সখীপুর পাইলট সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী ইসরাত জাহান শিম্মীর বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। তাকে টাঙ্গাইলের এক আইনজীবীর সঙ্গে বিয়ে দিতে ঠিক করেন অভিভাবকরা। বিয়েতে ইসরাতের মত না থাকায় সে ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চায়। পুলিশ উপজেলার কালিয়া গ্রামের মামার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে ইসরাতের মা হালিমা বেগম ও মামা মাসুমকে থানায় নিয়ে আসে।
একই রাতে সখীপুর উপজেলার দেওবাড়ি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে ও নাকশালা জমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রাবেয়ার বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। তাকে পাশ্ববর্তী বাসাইল উপজেলার মোতাহার আলীর ছেলে সুমনের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করেন অভিভাবকরা। এ সময় কোনো এক প্রতিবেশীর সহযোগিতা চান বাবেয়া। তার সহযোগিতায় ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে রাবেয়ার মা-বাবাকে ধরে থানায় নিয়ে আসে।
অন্যদিকে উপজেলার নামদারপুর ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী মোমেনা আক্তার নিজের বিয়ে ঠেকাতে সরকারি তথ্য ও সেবা ৩৩৩ এ ফোন দিলে পুলিশ তার বিয়েও বন্ধ করে দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের সহযোগিতায় মোমেনাকে থানায় তুলে আনেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মুচলেকা নেওয়া হয় ওই তিন ছাত্রীর অভিবাবকদের। পরে সতর্ক করে ওই তিন ছাত্রীর অভিভাবকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।