নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক:
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের বড়চওনা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক না থাকায় কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। ফলে ফার্মাসিস্ট দেখছেন রোগী আর ঝাড়ুদার দিচ্ছেন ওষুধ। রোববার সকালে সরেজমিন ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। যে কারণে প্রতিদিনই ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা শত শত রোগীরা ওই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে চিকিৎসা সেবা ও চিকিৎসক না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১ জন মেডিকেল অফিসার, ১ জন উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, ১ জন ফার্মাসিস্ট ও ১ জন এমএলএসএস থাকার কথা। কিন্তু গত ৭ থেকে ৮ মাস ধরে ওই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার আবদুল্লাহ আল আকিল বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আবদুল মালেক সিদ্দিকী গত ৫ আগস্ট হজ্ব পালন করতে সৌদিতে অবস্থান করছেন। এমএলএসএস পদটিও দীর্ঘদিন ধরে শূণ্য। রোববার সকালে গিয়ে দেখা যায়, ওই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোগীদের ফার্মাসিস্ট আবু বকর সিদ্দিক রোগী দেখছেন আর ওষুধ দিচ্ছেন ঝাড়ুদার লালভানু বেগম।
ফার্মাসিস্ট আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এ পর্যন্ত ২০-২৫ জন রোগী দেখেছেন তিনি। পর্যাপ্ত ওষুধ না থাকায় রোগীরা চলে যান বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক না থাকায় রোগীরা তাদের কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে চলে যান। নিয়মনীতি না থাকলেও ফার্মাসিস্ট রোগী দেখছেন আর ঝাড়ুদার রোগীদের দিচ্ছেন ওষুধ।
ওই কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা বড়চওনা গায়েন মোড় এলাকার হায়দার আলী বলেন, অনেক দিন ধইরা ডাক্তর নাই। তাই আমাগো আবু বকর স্যার চিকিৎসা দেন আর লালভানু আপা আমাগো ওষুধ দেন।
সাময়িকভাবে ওষুধের সংকট রয়েছে স্বীকার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাফিউল করিম খান বলেন, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে একজন মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট পাঠানো হবে। ফার্মাসিস্টরা চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন দেখে ওষুধ দিতে পারেন কিন্তু তাদের রোগী দেখার কোন নিয়ম নেই।