ইসমাইল হোসেন, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চোরকে চোর বলার কারণে চোরের গোষ্ঠী এসে হামলা করলো আটককারীর উপর। জানা গেছে, সরিষাবাড়ী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বলার দিয়ার দক্ষিণপাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে ফিরোজ মিয়া (৩৮) একজন কাঠের ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকা তথা পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও বিভিন্ন ধরণের গাছের বাগান কিনে ব্যবসা করেন। এবারেও তেমনি একই এলাকায় বলার দিয়ার পূর্বপাড়া ফজর আলীর একটি মেহেগুনী গাছের বাগান ক্রয় করেন।
বাগানের গাছগুলো কেটে স মিলে আনার জন্য করাতি ঠিক করেন আশরাফ গ্রুপকে। আশরাফ বলার দিয়ার মধ্যপাড়া মৃত কদ্দুস আলীর ছেলে। সে একজন ভ্যানচালক ও করাতি। আশরাফ সবসময় তার চাচাতো ভাই সোহেলের স মিলে কাজ করে। গাছ কাটা এবং আনা সে কন্টাক্ট নেয় বলে জানা যায়। এদিকে কাঠ ব্যবসায়ী ফিরোজও একই স মিলে ব্যবসা করে। তাই বাগানের গাছগুলো কাটা এবং আনার জন্য আশরাফের সাথে ১০ হাজার টাকা কন্টাক্ট করে ছিলো বলে জানান ফিরোজ। তিনি বলেন আমি ১১৭ টি মেহেগুনী গাছ কিনেছি। আশরাফ তার গ্রুপ নিয়ে গাছগুলো কেটে নিয়ে আসবে বলে কথা ছিলো কিন্তু আশরাফ দায়িত্ব নিয়ে চুক্তিভঙ্গ করেছে।
তবুও আমি কিছু মনে করিনি। কিন্তু আশরাফ যখন সেখান থেকে ২টি গুলাই চুরি করে রেখে আসে খালেকের মোড়ে মানিকের স মিলে। তখন আমি যে কোনভাবে জানতে পেরে আশরাফের পিছেপিছে যাই এবং গিয়ে মানিকের স মিলের পিছন থেকে গুলাই ২টি হাতেনাতে ধরে ফেলি। তখন আশরাফ অকপটে শিকার করে আমি চুরি করেছি। তাই সে বাঁচার জন্য ফিরোজকে গুলাই দুটির দাম দিতে চায়। কিন্তু ফিরোজ টাকা নিতে রাজি না হয়ে। চোর বলে তখনি আশরাফকে মারপিট করে এবং গুলাইসহ চৌধুরী মোড়ে নিয়ে আসে। স মিলের মালিক সোহেলের কাছে বিচার দেয়। সোহেল বিচারের ভার নিলেও পরবর্তীতে এড়িয়ে যায় বলে জানান ফিরোজ। পরের দিন সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে আশরাফের গোষ্ঠীর ৬০-৭০ জন লোক এসে ফিরোজকে মারার জন্য উত্যক্ত হলে ফিরোজ ভয়ে মান্নানের ফলের দোকানের মধ্যে পালায়। এমন সময় ফিরোজের মা ও ছোটভাই মেহেদী হাসান নাইম (১৫) এলে তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে চোরের গোষ্ঠীর লোকজন বলে জানা গেছে।এ
দিকে বাজার কমিটির লোকজন ফিরোজের মা ও ভাইকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উক্ত বিষয়টি তৎক্ষণাৎ বিচারের দায়িত্ব নেন সুলতান,শাহিন ও মিন্টু বলে জানা যায়। পরেরদিন সকাল ৯ টায় বিচার বসলেও আশরাফের গোষ্ঠীর লোকজন আবারও উত্তেজিত হয়ে বিচারকার্য্য নষ্ট করে দেয় বলে জানান এলাকাবাসী। বর্তমানে চোরের গোষ্ঠীর দাপটে ফিরোজসহ তার পরিবার আতঙ্কে আছে বলে জানা গেছে। এবিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মাজেদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।