নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৩-২৪ সালের বাজেট প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও উন্নত হবে। বাস্তব সম্মত এই বাজেট অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাস্তবায়িত হবে। আপনারা যত ধরণের স্যাংশনই দেন না কেন, আমরা স্যাংশনকে ভয় পাইনা। তাই স্যাংশন দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারবে না। যেকোন স্যাংশন দেইক আমরা তা মোকাবেলা করার সামর্থ রাখি এবং আওয়ামী লীগ এগুলো নিয়ে মোটেই বিচলিত নয়।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ বছরের বাজেটে কৃষিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। বিনামূল্যে না হলেও অনেক সহযোগিতা দিয়ে কৃষি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কম্বাইন হারভেস্টার আমরা দিচ্ছি। গ্রামীণ ও পল্লী বাংলাদেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য এই বাজেটকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর রাণী ভবানী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাজেট বিষয়ে বিএনপির নেতা কর্মীরা গত ১৪ বছর যাবতই বলে আসছেন- এটা উচ্চ বিলাসী বাজেট, অবাস্তব বাজেট, কল্পনা ভিত্তিক বাজেট। কল্পনা ভিত্তিক বাজেট হলে ৫ লাখেরও কম ৪ লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকা জাতীয় আয় ৪৪ লাখ হতো না। এটাই প্রমাণ প্রতি বছরই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ ও আধুনিক বাংলাদেশ করার লক্ষ্য নিয়ে বাজেট দিয়েছি। সেই লক্ষ্যে অদম্য গতিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বিদেশি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা বলে অদম্য বাংলাদেশ। সেই অদম্য বাংলাদেশে অপ্রতিরোধ্য গতি।
বিরোধী দলকে উদ্দেশ্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল বলে উচ্চ বিলাসী বাজেট, শেখ হাসিনাই উচ্চ বিলাসী। তিনি বাংলাদেশের মানুষকে আরও উন্নত করতে চায়। আমরা বলছি, এই বাজেট বাস্তব সম্মত। অতিতেও আমরা সফল হয়েছি। আগামী দিনেও এই বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সফল হব। আগে বাংলাদেশ ৪ লাখ ৮৪ কোটি টাকা ছিল মোট আয়। সেটা বেড়ে হয়েছে ৪৪ লাখ। আগামী বছর আরও বেশি হবে। বাংলাদেশের আয় আমরা নয় গুণ বৃদ্ধি করেছি। এই বাজেট প্রণয়ণ হলে এটি আরও বৃদ্ধি হবে।
ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীনের সভাপতিত্বে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের পরিচালক মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন মনি, সহ-সভাপতি মো. ইয়াকুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ স্থানীয় আওয়ামী নেতৃত্ববৃন্দ ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পে ১০০ জন ডাক্তার দিনব্যাপি প্রায় ১০ সহস্রাধিক রোগীদেরকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন।