অনলাইন থেকে: ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় জাতীয় জরুরি সেবায় ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করা এক বিধবা নারীকে (৪০) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) পাগলা থানার ওসি (তদন্ত) সজীব রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের কাজা গ্রাম থেকে ভুক্তভোগী ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের কাজা গ্রামের সজীব (৩৯), হানিফা মিয়া (৩০), আল আমিন (৩৫), মোস্তফা (৪৫), জুয়েল কুমার (২৮), শারফুল (৩০), মনির (৩২), বাবুল (৩৬), মানিক (৫৬) এবং জাকির (৩০)।
পাগলা থানার ওসি (তদন্ত) সজীব রহমান জানান, ভুক্তভোগী বিধবা নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা। তিনি ভালুকা পৌর শহরের মেজরভিটা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কাজা গ্রামের সজীব ও হানিফার পূর্ব পরিচয় ছিল।
এ ঘটনার দিন রোববার সকালে ভুক্তভোগী নারী সজীবের কাছে পাওনা ২০ হাজার টাকা ফেরতের জন্য তাগাদা দিলে সজীব তাকে রাতে ফোন করে আসতে বলেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাজা গ্রামে যান। এ সময় কাজা গ্রামের একটি ধানখেতে নিয়ে ভুক্তভোগী বিধবা নারীকে সজীব ও তার বন্ধুরা দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে চলে যায়।
তিনি আরও জানান, একই দিন রাত ২টার দিকে ভুক্তভোগী নারীর জ্ঞান ফিরলে সে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। এ সময় পুলিশ ভুক্তভোগী নারীকে রাত ৩টার দিকে কাজা গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই নারী পুলিশকে ধর্ষণের ঘটনা জানালে প্রথমে সজীবকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর সজীবের স্বীকারোক্তিতে অভিযান চালিয়ে রাতেই অভিযুক্ত আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভুক্তভোগী নারীকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।