ইসমাইল হোসেন,
দেশের অন্যতম পোল্ট্রি শিল্প এলাকা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা। দীর্ঘদিন যাবত সফলতার সাথে এ উপজেলার পোল্ট্রি খামারীরা ব্যবসা করে আসলেও বর্তমান সময়ে বহুবিধ কোম্পানীর আগ্রাসনের কবলে পড়ে স্ব-উদ্যোগে গড়ে ওঠা প্রান্তজনের এই শিল্প আজ ধ্বংসের পথে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিতসহ সর্বমোট ১৫শ ৯৪টি লেয়ার ও ব্রয়লার খামার রয়েছে। যার মধ্যে লেয়ার খামার ৭শ ৭৬ টি এবং ও ব্রয়লায় খামারে সংখ্যা ৮শ ১৮টি।
জানা যায়, বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানীগুলোর সিন্ডিকেটে কারণে একদিন বয়সের বাচ্চার দাম নির্ধারিত দামের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি করে ব্রয়লার বাচ্চার দাম ধরা হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকা এবং লেয়ায়ের বাচ্চার দাম ধরা হয় ১১০ থেকে ১২০ টাকা । বাচ্চা ও খাদ্যের দাম বেশি কিন্তু সে তুলনায় ডিম ও মুরগির দাম কম থাকায় প্রতিদিনই খামারীদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। যে কারণে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারী পোল্ট্রি খামারীরা মনে করেন এভাবে চলতে থাকলে তাদের ব্যবসা চালানো সম্ভব হবে না ।
একাধিক খামারীদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে বাচ্চার কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বহুজাতিক কোম্পানীগুলো নিজেরাই মাংস ও ডিম উৎপাদনে নিয়োজিত। সরকারের দুর্বলতা আর আইনের ফাঁক ফোঁকরের সুযোগ নিয়ে ওইসব কোম্পানীগুলো দিনের পর দিন সরকারের চোখের সামনেই গভীর সিন্ডিকেট করেই চলছে।
উপজেলার কালিদাস গ্রামের লেয়ার খামারী সাইফুল ইসলাম সজীব বলেন, নানা সংকটের কারণে একজন খামারীকে খামার নিয়ে ২৪ ঘন্টাই সজাগ থাকতে হয়। যখন এই শিল্পের একটু সুদিন আসে তখনি বহুজাতিক কোম্পানীগুলো নতুন নতুন চক্রান্ত করে। যার জন্য দায়ী সি.পি কোম্পানী। বহুভার এই সি.পি কোম্পানীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেও কোন লাভ হয়নি।
উপজেলা পোল্ট্রি ডিলার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, পোল্ট্রি শিল্পের উপর সু-নিদিষ্ট কোন নীতিমালা না থাকায় বহুজাতিক কোম্পানীর সিন্ডিকেটের কারণে দেশের পোল্ট্রি শিল্প আজ ধ্বংসের পথে। আমরা আমাদের দাবি সরকারের কাছে একাধিকভার তুলে ধরেছি। কিন্ত অদৃশ্য কারণে সরকার আমাদের দাবি আমলে নেন নি।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. উকিল উদ্দিন বলেন, সরকার পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় যথেষ্ঠ সজাগ। অচিরেই এ সকল সমস্যা সমাধান হবে বলে তিনি জানান