‘আমরা যুবলীগের ক্লাবঘরে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ নাকে আসে পোড়া গন্ধ। কিছুক্ষণ পর আগুন ও ধোঁয়া বেড়ে যায়। যেভাবে পারছি ক্লাব থেকে বের হয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করি কিন্তু আগুন না নিভে বরং বেড়ে যায়। বাধ্য হয়ে ৯৯৯-এ ফোন করে আগুনের খবর জানাই। এরপর ফায়ার সার্ভিস আসে।’ কথাগুলো বলছিল মেহেদি হাসান নামে এক কিশোর।
ওই কিশোর আরও বলে, তার মা হাজেরা বিবিকে নিয়ে শুধুমাত্র পিএসপির সার্টিফিকেট ও কিছু জামা- কাপড় নিয়ে বের হতে পেরেছে সে।
মেহেদির বাবা শেখ ফরিদ পেশায় একজন সবজি ব্যবসায়ী। মেহেদির মা কান্নাকাটি করে বলেন, ‘সব শেষ হয়ে গেল। দীর্ঘদিনের জমানো টাকা, সাজানো সংসার ছেড়ে খালি হাতে বের হয়ে যাই। আমার জায়গা এখন রাস্তায়। আর কিছুক্ষণ দেরি হলে হয়তো মারাই যেতাম।’
সুমনা বেগম নামে আরেক নারী টিভি ঘাড়ে করে বেরিয়ে আসেন বস্তি থেকে। তিনি আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘আল্লাহ গো, গরিবের ঘরেই কেন বারবার আগুন লাগে। দয়া করো। বাঁচাও। আমার বাচ্চার খোঁজ এখনও পাই নাই।’ শুভ নামে ৭ বছরের ছেলের সঙ্গে দেখা হয়নি মা সুমনা বেগমের।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি র্যাব-পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করছেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানা যায়নি।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।