শুভ্র মজুমদার কালিহাতী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা সংলগ্ন ঘাটাইলের মিলকুড়িয়া গ্রামে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর লিঙ্গ কাটার অভিযোগে ১৫ জুন সকাল ১১ টায় মামলা দায়ের করেছেন ভ্যান চালক কামাল খান। মামলা তুলে নিতে হুমকী ও সন্ত্রাসী হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন।
১৫ জুলাই (সোমবার) সন্ধ্যায ২৫-৩০ জনের একটি দল মামলাটি তুলে নিতে বলে এবং স্বামী কামালের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়, যার ফলে তিনজন মারাত্মকভাবে আহত হন। প্রাণ ভয়ে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন ভুক্তভোগীর মা জমেলা ও দুই ভাই কামরুল ও জয়নাল।
মামলার বিবরণ এবং তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, লিঙ্গ কর্তনের ঘটনার পর সাংবাদিক সম্মেলনে এ ঘটনা জানানো হলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে।
কামাল খান জানান, গত ৯ জুন রাতে স্ত্রীর দেওয়া এক গ্লাস পানি খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ লিঙ্গ কাটার সময় চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং স্ত্রী তাসলিমাকে ব্লেট হাতে পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পরে কামালকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য এলাকার মাতাব্বররা প্রতিদিন চাপ দিতো। রাজি না হওয়ায় তারা আমাদের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে আমাদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী তাসলিমা পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। কামালের বোন জামাই রোস্তম জানান, তিনি বহুবার মেয়ের মা-বাবাকে বিষয়টি জানালেও তারা কোনো সাড়া দেননি। বরং মেয়ের চাচা ও চাচী হুমকি দিয়ে বলেন, “আমাদের মেয়ের যদি কোনো ক্ষতি হয় তাহলে তোমাদের গলা কেটে ফেলব।”
কামালের বোন মনোয়ারা বলেন, “আমি মেয়েটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে বলি, কিন্তু মেয়ের পরিবার জোরপূর্বক আমাদের বাড়িতে রেখে যায়। আমরা দেশবাসীর কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।”
বড় ভাই জয়নাল জানান, “মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিলো। কিন্তু মামলা তুলে না নেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে ২৫-৩০ জন লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা চালায়।”
স্থানীয়রা জানান, আহতদের কালিহাতী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মা ঝমেলা ও ভাই কামালের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।