শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
Homeটাঙ্গাইল জেলাটাঙ্গাইলবাসী বিশুদ্ধ পানির নামে যা খাচ্ছে

টাঙ্গাইলবাসী বিশুদ্ধ পানির নামে যা খাচ্ছে

নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে নামসর্বশ্য ট্রেড লাইসেন্সেই অবাধে বিক্রি হচ্ছে অনুমোদনহীন ফ্যাক্টরীর ন্যাচারাল ড্রিংকিং ওয়াটার নামের বিশুদ্ধ পানি। এ ধরণের ফ্যাক্টরী নির্মাণে মানা হয়নি কোন রকমের বিধিমালা। ফ্যাক্টরী নির্মাণে সাইন্স ল্যাবরেটরি, আইসিডিডিআর, বিএসটিআই এর অনুমোদনসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রিমিসেস সার্টিফিকেট, শ্রমিকদের শারীরিক সুস্থতা সনদ, পরিবেশের ছাড়পত্র ও কল-কারখানার সনদ এর বিধান থাকলেও নেই এর একটিও। নেই ফ্যাক্টরী গুলোর নিজস্ব ল্যাব বা ক্যামিষ্ট।

বিধি বিধান অমান্য করা স্বত্তেও জেলা শহরে অবাধে বিক্রি হচ্ছে অপ্সরা ড্রিংকিং ওয়াটার (নিউ জমজম) আর মেঘ ন্যাচারাল ড্রিংকিং ওয়াটার নামের দুটি ফ্যাক্টরীর পানি। সম্প্রতি শহরের একটি দোকানে অপ্সরা ড্রিংকিং ওয়াটার (নিউজ জমজম)এর দেয়া পানির জারে পাওয়া যায় পোকা, টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয় কোম্পানী কর্তৃপক্ষ বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। ভোক্তারা প্রতারিত হওয়াসহ পরিচালিত ফ্যাক্টরী গুলোর পানি কতটা নিরাপদ এখন সে প্রশ্ন জনমনে। এরপরও জনস্বাস্থ্য নির্ভর অবৈধভাবে পরিচালিত পানি ফ্যাক্টরীগুলোতে প্রশাসনিক নজরদারি না থাকায় শহরজুড়ে সয়লাব এখন মান ও অনুমোদনহীন জার জাতীয় বোতলজাত পানি। দ্রুত এই পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি জোড় দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, সম্প্রতি শহরের শামসুর রহমান খান মার্কেটের টাইম গার্মেন্টস নামের এক দোকানে দেয়া অপ্সরা ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরীর নিউ জমজম পানির ২০লিটার বোতলজারে পাওয়া যায় পোকা। পরে বিষয়টি কোম্পানী কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে বিশ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।

নিউ জমজম পানির জারে পোকা পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টাইম গার্মেন্টসের মালিক সোহাগ। তিনি বলেন, পরবর্তীতে পানি সরবরাহে এমন ত্রুটি থাকবেনা শর্তে পানি ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করেন।

ওই মার্কেটের সামরহিল গার্মেন্টেসের মালিক জাহিদ হোসেন বলেন, আগে নিউ জমজম পানি ফ্যাক্টরী পানি রাখতেন তিনি। পানিতে পোকা পাওয়ার পর থেকে তিনি আর বোতলজাতের জার পানি রাখছেন না।

ব্যাং গার্মেন্টেসের মালিক জিয়া বলেন, তিনি প্রায় তিন বছর যাবৎ অপ্সরা ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরীর নিউ জমজম পানি ব্যবহার করছেন। ওই ফ্যাক্টরীর পানি নিয়ে ঝালেমা হয়েছিল বলেও শুনেছেন তিনি।

টাঙ্গাইল জেলা নির্মাণ প্রকৌশল শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারি সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা মেঘ ন্যাচারাল ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরীর পানি খাওয়ার কাজে ব্যবহার করছি। মাসে তাদের জার জাতীয় বোতলজাত পানি লাগে ১০-১৫টি। যার প্রতিটির মূল্য দেয়া হয় ৪০টাকা।

বোতলজাত পানির ক্রেতারা জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজন হয় খাবার পানি। যা বাসা-বাড়ি থেকে এনে ব্যবহার সম্ভব হয়না। এছাড়াও বাইরে থেকে টিউবওয়েলের পানি বারবার আনা কষ্টকর। এ কারণে আর বিশুদ্ধ পানি ভেবে বোতলজাত পানিগুলো রাখছেন তারা। তবে ক্রয়কৃত স্থানীয় বোতলজাত ওই পানি স্বাস্থ্যর জন্য কতটা নিরাপদ সেটি জানেননা তারা।

শহরের পানির বোতল সরবরাহকালে মেঘ ন্যাচারাল ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরীর মার্কেটিং ম্যানেজার নয়ন জানান, মাসে তাদের ফ্যাক্টরীর পানি যায় প্রায় দেড় হাজার বোতল। যার মূল্য ষাট হাজার টাকা। ভোরে কাজ শেষ হয়ে যাওয়া দিনের বেলা বন্ধ থাকে ফ্যাক্টরী বলেও জানান তিনি।

সরেজমিনে পাওয়া তথ্য, গত পাঁচ বছর যাবৎ বিএসটিআই, সাইন্স ল্যাবরেটরি,আইসিডিডিআর এর অনুমোদনসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রিমিসেস সার্টিফিকেট, শ্রমিকদের শারীরিক সুস্থতা সনদ, পরিবেশের ছাড়পত্র আর কল-কারখানার সনদ ছাড়াই পানি উৎপাদন আর বিপনণ কাজ চালিয়ে আসছে অপ্সরা ড্রিংকিং ওয়াটার (নিউ জমজম) ও মেঘ ন্যাচারাল ড্রিংকিং ওয়াটার নামের দুটি ফ্যাক্টরীসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তবে নিয়মনীতি মেনে চলাসহ লোকবল সংকটে বন্ধ হয়ে যায় একই সময় চালু হওয়া জেমস, রিয়া, শান্তি প্লাস ও মক্কা নামের চারটি ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরী।

তবে এখনও উৎপাদন ও বিপনণ চালিয়ে আসছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নে নির্মিত জমজম ড্রিংকিং ওয়াটার এর নাম পরিবর্তন করে অপ্সরা ড্রিংকিং ওয়াটার (নিউ জমজম) আর করটিয়া ইউনিয়নের ক্ষুদিরামপুর এলাকার মেঘ ন্যাচারাল ড্রিংকিং ওয়াটার নামের দুটি ফ্যাক্টরী। ফ্যাক্টরীগুলো বাজারজাত করছে বিশ লিটারের বোতলজাতের জার পানি। এর মধ্যে অপ্সরা ড্রিংকিং ওয়াটার ( নিউ জমজম) পানি সাপ্লাই ফ্যাক্টরীর ট্রেড লাইন্সেস আর শিল্প মন্ত্রণালয়ের ট্রেড মার্ক রেজিষ্ট্রেশনের আবেদন ব্যতিত নেই অন্য কোন প্রাতিষ্ঠানিক আবেদন। এছাড়াও রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কতিপয় স্যানেটারী কর্মকর্তা ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের স্বাক্ষরযুক্ত আবেদন। যা নিয়েই বাজারে বোতলজাতের জার পানি সরবরাহে নেমেছে ফ্যাক্টরীটি।

শহরব্যাপি কয়েকটি গাড়ীতে সরবরাহের মাধ্যমে ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করেছে অবৈধভাবে পরিচালিত ড্রিংকিং ওয়াটার কোম্পানী গুলোর পানি। বিশ লিটার পানির প্রতিটি জার বোতল ৪০-৫০টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে এ দুই পানি কোম্পানীর দৈনিক বিক্রি প্রায় পাঁচ শতাধিক বোতল। এর ক্ষতিকর দিকগুলো না জেনে ও বিশ^াস আর প্রয়োজনের তাগিদে পানিগুলো ব্যবহার হচ্ছে জেলা শহরের ব্যাংক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দফতরে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে বন্ধ করে দেয়া একাধিক পানি ফ্যাক্টরীর মালিক জানান, রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার না থাকায় এ ধরণের বোতলজাত পানি সর্বোচ্চ তিনদিন ব্যবহার করা সম্ভব। এছাড়াও জারের মুখ বেশিদিন খোলা থাকলে পানিতে মশা ডিম পারাসহ জন্ম নিতে পারে নানা ধরণের পোকা, ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস। পানিতে সৃষ্টি হতে পারে দূর্গন্ধ বলেও জানান তারা।

সরেজমিনে অপ্সরা ড্রিংকিং ওয়াটার (নিউ জমজম) ফ্যাক্টরী ঘুড়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে ৮জন শ্রমিক কর্মরত থাকলেও একজন শ্রমিক করছেন বোতল ধোঁয়া আর পানি ভর্তির কাজ। তবে এ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকের হাতে ছিলনা গ্লোবস, শরীরে এ্যাপরোন আর পায়ে ছিল স্যান্ডেল। যা পানি ফ্যাক্টরী নীতিমালা বর্হিভুত। বোতন পরিস্কার বা ধোঁয়ার কাজে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ব্যবহারের কথা থাকলেও ব্যবহার হচ্ছে পানি। এছাড়াও অটোমেটিক ফিলিং (Automatic Filling ) মেশিনে পানি বোতলজাত করার বিধান থাকলেও এখানে সরাসরি মাটির অগভীর থেকে মটরে তোলা পানি খোলা কলের মাধ্যমে ভরে বাজারজাতের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এছাড়াও পানি ভর্তি জারে হাতের সাহায্যে প্লাস্টিক মুখ লাগানোসহ কসটেপ পেচাতেও দেখা গেছে।

অন্যদিকে সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের ক্ষুদিরামপুর থেকে পরিচালিত মেঘ ন্যাচারাল ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরীটি দিনের বেলায় বন্ধ থাকায় এর কার্যক্রম ধারণ করা যায়নি। তবে শহরব্যাপী ফ্যাক্টরীটির পানি সরবরাহ চলমান রয়েছে।

বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মুঠোফোনে পানির জারে পোকা আর জরিমানা দেয়ার কথা স্বীকার করে অপ্সরা ড্রিংকিং ওয়াটার (নিউ জমজম) ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ কামাল পাশা বলেন, ক্রেতার ব্যবহার জনিত সমস্যায় পানির বোতলে পোকা প্রবেশ করেছিল। শুধু ব্যবসায়িক ভাবনায় বিশ হাজার টাকা জরিমানা দেয়া হয়েছিল। আমাদের কোম্পানির পানি বুয়েট দ্বারা পরিক্ষিত। তাদের পরিচালিত ফ্যাক্টরীর ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য দপ্তরে আবেদন করার প্রক্রিয়া চলছে। দাপ্তরিক অনুমতি ব্যতিত ব্যবসা পরিচালনা ঠিক কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মার্কেট ধরতে তারা বাজারে পানি সরবরাহ করছেন।

বিএসটিআই এর টাঙ্গাইল ফিল্ড অফিসার সিকান্দার মাহমুদ বলেন, ড্রিংকিং ওয়াটার এর জন্য প্রয়োজন সাইন্স ল্যাবরেটরি, আইসিডিডিআর এর অনুমোদনসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রিমিসেস সার্টিফিকেট, শ্রমিকদের শারীরিক সুস্থতা সনদ, পরিবেশের ছাড়পত্র ও কল-কারখানার সনদ। সকল সনদপ্রাপ্ত হওয়ার পরে এ ধরণের প্রতিষ্ঠান পায় বিএসটিআই এর সনদ। ড্রিংকিং ওয়াটার এর নম্বর বিডিএস নম্বর ১২৪০: ২০০১ (১ম রিভিশন) আর ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার পায় বিডিএস ১৪১৪ : ২০০০ (১ম রিভিশন)। এরপরই পানি কোম্পানীগুলো করতে পারে উৎপাদন আর বিপনণ।

তিনি আরোও বলেন ‘পানি সাপ্লাই কোম্পানি’ গুলোতে থাকতে হবে RO (Reverse Osmosis) ওয়াটার পিউরিফাইয়ার মেশিন। ফ্যাক্টরীতে কোন প্রকার হাতে ছোঁয়া ছাড়াই অটোমেটিক ফিলিং(Automatic Filling ) মেশিন বা ম্যানুয়াল মেশিন দ্বারা পানি বের করার নিয়ম রয়েছে। এছাড়াও হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড দিয়ে নিয়মিত জার বা বোতল পরিস্কার কিংবা ধোঁয়ার বিধান।

তিনি আরো জানান, অনুমোদনহীন পানি ফ্যাক্টরীতে উৎপাদন ও বিপনণ দন্ডনীয় অপরাধ।

টাঙ্গাইলের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সুজাউদ্দিন তালুকদার বলেন, এ ধরণের পানি বেশিরভাগই অপরিশোধিত ও নিরাপদ নয়। এ পানি ব্যবহারে বিভিন্ন ধরণের পানিবাহিত রোগ টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, ভাইরাস, ডায়রিয়া, কলেরা রোগের ঝুঁকি রয়েছে। এ ধরণের পানির মধ্যে প্লেগ ও আরসেনিকের মত বিষাক্ত ধাতু থাকতে পারে। যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন এ ধরণের পানি ব্যবহারের ফলে ত্বক, কিডনী ও লিভারের ক্ষতি হতে পারে। এবং রয়েছে ক্যান্সার রোগের মত বড় ধরনের ঝুঁকি ।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ টাঙ্গাইল কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী বলেন, বিএসটিআই এর সনদ ছাড়া পানি ফ্যাক্টরীর উৎপাদন ও বিপনণ সর্ম্পন্ন অবৈধ। পরিচালিত ফ্যাক্টরীগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেছেন তিনি।

টাঙ্গাইল কল-কারাখানা অধিদফতরের সহকারি মহাপরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, টাঙ্গাইলে পরিচালিত অপ্সরা ড্রিংকিং ওয়াটার (নিউ জমজম)ও মেঘ ন্যাচারাল ড্রিংকিং ওয়াটার নামের দুটি ফ্যাক্টরী তাদের সনদপ্রাপ্ত নন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠান দুটিতে কয়জন আর কোন কোন বয়সের শ্রমিক কাজ করছেন সেটিও অবগত নন তারা।

পরিবেশের ছাড়পত্র নেয়নি পরিচালিত পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান দুটি বলে নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে গড়ে উঠা এ ধরণের পানি উৎপাদন ও বিপনণকারী ফ্যাক্টরী গুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন তিনি।

টাঙ্গাইল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী বশির আহম্মেদ বলেন, এ শহরে পানিতে আয়রনের পরিমাণ অনেক বেশি। আয়রনমুক্ত পানি পেতে হলে নুন্যতম ৪’শ ফুট গভীর নলকূপ স্থাপন করতে হয়। পানি উৎপাদনকারী ফ্যাক্টরীগুলো কতটা গভীর থেকে পানি উত্তোলন করছে সে বিষয়টি জরুরী। পানিতে আয়রনের পরিমান বেশি হলে এবং পানি খেলে কিডনিও নষ্ট হতে পারে। তবে অপ্সরা ড্রিংকিং ওয়াটার (নিউ জমজম) ফ্যাক্টরীর পানি বুয়েট কর্তৃক যে নিরিক্ষা টেষ্ট রিপোর্ট এসেছে সেখানে কিন্তু ক্লোরিফ্রম ব্যাকটেরিয়ার এবং ফীক্যাল (মলযুক্ত পানি) উপস্থিতি অনেক বেশী পাওয়া গেছে। যা মানব দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এবং এই রিপোর্টে কিন্তু লেখা আছে যে এই পানির স্যাম্পল কিন্তু কোম্পানি নিজেই কালেকশন করেছে বুয়েট কর্তপক্ষ তারা করে নাই ।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রেমিসেস সার্টিফিকেট ও শ্রমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ নেয়নি অপ্সরা ড্রিংকিং ওয়াটার (নিউ জমজম) ও মেঘ ন্যাচারাল ড্রিংকিং ওয়াটার নামের দুটি পানি সরবরাহকারী ফ্যাক্টরী। কোন আবেদনও করেননি তারা। পানি সরবরাহে নিয়োজিত ফ্যাক্টরী গুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -