এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
প্রেমের টানে মালেশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিসের পূর্বের স্বামী ও সন্তানের খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ায় নতুন স্বামী মনিরুল ইসলামকে নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন তাঁরা। শনিবার দুপুরে মনিরুলের বাড়ি সখীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে ও মামার বাড়ি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসায় খোঁজ নিতে গেলে তারা সকাল থেকে ওই মালেশিয়ান তরুণী ও মনিরুলকে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানান। পরে মনিরুলের মোবাইল ফোনের নম্বরে বার বার ফোন করে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জানা যায়, ছয় মাস আগে মালেশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিসের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় সখীপুর পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের ঈমান আলীর ছেলে ও সখীপুর সরকারি মুজিব কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মনিরুলের (১৭)। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের গভীরতা বেড়ে যায়। অবশেষে মালেশিয়া থেকে প্রেমের টানে ২৫ আগস্ট শুক্রবার সকালে ওই তরুণী মনিরুলের কাছে সখীপুরে চলে আসেন। মনিরুলের বয়স কম থাকায় শুক্রবার রাতে স্থানীয় মৌলভী দ্বারা পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের মামার বাসায় তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। এ ঘটনায় বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে জুলিজা বিনতে কামিসের পূর্বের স্বামী মো. আজগর আলীর নজরে আসে। পরে জুলিজার বিনতে কামিসের ফেলে আসা স্বামী আজগর আলী চার সন্তানসহ তাদের পারিবারিক একটি গ্রুপ ছবি ও কাবিননামাসহ বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের কাছে পাঠান। এ সময় জুলিজার আগের স্বামী মো. আজগর আলী বলেন, ১৯৯৬ সালে জীবিকা নির্বাহের জন্য মালেশিয়া চলে আসি। সেখানেই পরিচয় হয় জুলিজার সাথে। ২০০৮ সালে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় আমাদের। তাদের সংসারে চারটি ফুটফুটে সন্তানও রয়েছে। তার বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকার ঝিগাতলা। সেই সন্তানদের ফেলেই শুক্রবার জুলিজা বাংলাদেশে চলে আসে।
মনিরুলের বাবা ঈমান আলী বলেন, মনিরুল বউমাকে নিয়ে সকাল থেকে কোথায় আছে বলতে পারিনা। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
মনিরুলের মামা সিরাজুল ইসলাম বলেন, মনিরুল তার বউকে নিয়ে সকালে বাসা থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। তার পর থেকে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই।