শুক্রবার, অক্টোবর ৪, ২০২৪
Homeজাতীয়বাসাইলে বালু খেকোদের দখলে বংশাই ও ঝিনাই নদী স্কুল,আবাদী জমি ও বাড়িঘর...

বাসাইলে বালু খেকোদের দখলে বংশাই ও ঝিনাই নদী স্কুল,আবাদী জমি ও বাড়িঘর ধ্বসের আশঙ্কা

 

এনায়েত করিম বিজয় :
টাঙ্গাইলের বাসাইলের বংশাই ও ঝিনাই নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নদীতে বালু উঠানোয় তীরবর্তী স্কুল, আবাদি জমি এবং বাড়িঘর নদিতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, উপজেলার কাউলজানী, কাঞ্চনপুর ও কাশিল ইউনিয়ন দিয়ে প্রবাহিত বংশাই ও ঝিনাই নদী । এ দুটি নদীতে বিভিন্ন এলাকার প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ১৫টি ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে। অভিযোগ উঠেছে নদীতে পানিতে ভাসমান চরাট বানিয়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাইপের মাধ্যমে গভীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদী পাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। আশপাশের স্কুল, আবাদি জমি ও বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।
উপজেলার কাউলজানীতে বংশাই নদীর ডুমনীবাড়ি বাজার সংলগ্ন অংশে মামুন মালিকানাধীন ড্রেজার, সুন্যা আব্বাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন অংশে কুমুর উদ্দিন, সুন্যা দক্ষিণপাড়া এলাকায় শাহীন, সুন্যা ঘোনাবাড়ি এলাকায় মিঠু, সুন্যা পূর্বপাড়া ও ইশ্বরগঞ্জ বাজার সংলগ্ন অংশে মান্নান মেম্বার, নাইকানীবাড়ি এলাকায় জামিল, হাবলা বিলপাড়া বাজার থেকে কাঞ্চনপুর কাজিরাপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত শাহীন, শামীম, জাকির ও বিশু, কাঠালতলী এলাকায় আমিনুর মেম্বারের মালিকানাধীনসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রভাবশালী মহল প্রায় ১৫টি ড্রেজার বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছেন।
স্থানীয়রা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে তাদের পরিবেশ বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, এভাবে বালু উত্তোলন করায় নদীর গভীরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও আবাদি জমি হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। এর আগে একই কারণে তাদের অনেক জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে তাদের এ এলাকার অনেক লোকের জমিও বিলীন হয়ে যাবে। স্থানীয়দের দাবি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি হাবলা, কাঞ্চনপুর, কাউলজানী ইউনিয়নের নায়েবকে অবহিত করা হলেও রহস্যজনক কারনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে বালু ব্যবসায়ীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালালে কয়েক দিন বন্ধ করা হয়। সুযোগ বুঝে তা আবার চালু করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়মা আক্তার নি
উজ টাঙ্গাইলকে জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -