মাথা ধরেছে, দুটো প্যারাসিটামল খেয়ে ঘুম দিলেই সেরে যাবে। হাঁটু ব্যথা করছে, একটা ব্যথানাশক বড়ি খেয়ে নিলেই হলো। নানা সময়ে, নানা কারণে আমরা এভাবে বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে ফেলি। আমাদের দেশে এ ধরনের ব্যথার বড়ি কিনতে ও খেতে চিকিৎসকের কোনো ব্যবস্থাপত্রও দরকার হয় না। কিন্তু আসলে কি এভাবে যেকোনো কারণে ব্যথার ওষুধ খাওয়া উচিত?
প্রচলিত ব্যথার ওষুধ আসলে মূলত চার ধরনের— এসিটামিনোফ্যান বা প্যারাসিটামল, নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ওষুধ, স্টেরয়েড এবং ওপিয়ড জাতীয় ওষুধ। এর মধ্যে প্যারাসিটামল ও আইবুপ্রোফেন, ন্যাপরোক্সেন জাতীয় নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি সারা বিশ্বেই ওভার দ্য কাউন্টার ওষুধ হিসেবে স্বীকৃত, অর্থাৎ ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই কেনা যায়।
তবে অন্যান্য ওষুধ কিনতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র লাগে। কিন্তু আমাদের দেশে অন্য ওষুধগুলোও কেনা যায়। তবে ওপিয়ড, যেমন মরফিন, প্যাথিডিন ইত্যাদির ব্যাপারে কিছু বাধ্যবাধকতা আছে।
আমাদের দেশে শুধু ব্যথার ওষুধের ক্ষেত্রে না, অ্যান্টিবায়োটিক বা যেকোনো ওষুধের ক্ষেত্রেই আমরা সবার আগে ফার্মেসির শরণাপন্ন হই। এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং আমার কাছে খুব অ্যালার্মিং মনে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো ফার্মেসিই বুঝবে না, আপনার জন্য কোন ওষুধটি সঠিক বা কোন ওষুধ দিলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হবে কিংবা আদৌ হবে না। সুতরাং ব্যথা হলেই ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাওয়া একদমই বিজ্ঞানসম্মত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কারও এটি করা উচিত নয়। শুধু ব্যথার ওষুধ নয়, একটি প্যারাসিটামলও এভাবে খাওয়া ঠিক নয়।
দেশে অনলাইনভিত্তিক চিকিৎসাসেবা রয়েছে। অনলাইন হেলথ, হেলথ টিপস বা হেলথ পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। খুব প্রয়োজন হলে তাদের পরামর্শ নিতে হবে। কিন্তু ফার্মেসি থেকে কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়া যখন-তখন ওষুধ খাওয়া কখনই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।