গত ১৬ জুলাই সকালে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার বক্তব্য রেকর্ড করতে বরগুনা পুলিশ লাইনসে নিয়ে যায় পুলিশ। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে মিন্নিকে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।এ ব্যপারে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন নিউজ টাঙ্গাইলকে জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সকালে গাড়িতে করে মিন্নি ও তাকে পুলিশ লাইনসে আনে। মামলার তদন্তের জন্য বাসা থেকে লাইনসে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ জানায়, রিফাত হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী এক নম্বর সাক্ষী মিন্নি। পুলিশ লাইনসে এনে তাঁকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে। এরপর শুক্রবার বিকেলে মিন্নি একই আদালতে তার স্বামী রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে পুলিশ জোরজবরদস্তি করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে মিন্নির বাবা।
এ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহু সমালোচনার পর বরগুনা ও ঢাকার আইনজীবীদের একটি অংশ মিন্নির পক্ষে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। সোমবার আদালতে মিন্নির পক্ষে তার জবানবন্দি প্রত্যাহার ও উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়।