বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩
Homeটাঙ্গাইল জেলাসখিপুরসখীপুরে জেএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলা ঠেকাতে দেড় লাখ টাকায় রফাদফা

সখীপুরে জেএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলা ঠেকাতে দেড় লাখ টাকায় রফাদফা

এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর উপজেলায় এক জেএসসি পরীক্ষার্থীকে (১৩) কথিত নানা তিন সন্তানেন জনক নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। ধর্ষিতা মেয়েটি তিন মাসের অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ায় পেটের বাচ্ছা নষ্ট করতে ও ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্থানীয় মাতাব্বর ও যুবলীগ নেতা মিলে দেড় লাখ টাকায় মীমাংসা করতে বাধ্য করেছেন। ধর্ষক নাছির উদ্দিন উপজেলার ছিলিমপুর গ্রামের মৃত কুমুর উদ্দিন হাজীর ছেলে। মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এবার জেএসসি পরীক্ষার্থী।
ধর্ষিতা মেয়েটি ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিন সন্তানের জনক বখাটে নাছির উদ্দিন (৪০) সম্পর্কে ওই স্কুল ছাত্রীর নানা । এই সুবাদে মেয়েটির বাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত ছিল নাছিরের। নানা বলেই ডাকতো মেয়েটি। গত রমজান মাসের প্রথম দিকে মেয়েটির বাবা মা মেয়েটিকে বাড়িতে রেখে আতœীয় বাড়ি যায়। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে কথিত নানা নাছির উদ্দিন ওই স্কুল ছাত্রীর হাত মুখ বেঁেধ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি ও পরিবারের ক্ষতি করবে বলে শাসিয়ে যায়। পরবর্তীতে বখাটে নাছির ওই মেয়েটিকে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করে। অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়লে মেয়েটি তার বাবা-মার কাছে সব ঘটনা খুলে বলে। পরে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ধর্ষিতার পরিবার মামলা করতে চাইলে বখাটে নাছির তাঁর ভায়রা উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি এমএ ছবুরের সহায়তায় স্থানীয় মাতাব্বরদের নিয়ে ওই অসহায় পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় মীমাংসায় রাজি করান।
মেয়েটির মা বলেন, আমরা গরীব বলে বিচার পেলাম না। নেতারা আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মীমাংসায় রাজি করিয়েছেন। অন্তসত্ত্বা মেয়েটি তারা জোরপূর্বক বাচ্চা নষ্ট করার ওষুধ খাওয়েছে। আমার মেয়ের জীবন যে নষ্ট করেছে আমি তার বিচার চাই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি মেয়েটি অসুস্থ্য।
সখীপুর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি এম এ ছবুর তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি একা নই স্থানীয় মাতাব্বরদের নিয়েই বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনসার আলী আসিফ বলেন, বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে বলে শুনেছি।
অভিযুক্ত নাছির উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি স্থানীয় মাতাব্বরদের নিয়ে মীমাংসা করা হয়েছে বলে দাবি করেন।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -