নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক :
বিদ্যুতের সংযোগ নেই, খুঁটির সঙ্গে তারের দেখা মেলেনি, কখনও সংযোগ ছিল না, বিদ্যুতের গ্রাহকও নন, তবুও মোস্তফা কামাল নামের এক ব্যক্তির নামে ৩৮ হাজার ৭১ টাকার এ কাল্পনিক বিল তৈরি করা হয়েছে। উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের তক্তারচালা পাটজাগ বাংলাবাজারের ‘আলেয়া ফার্মেসী’র মালিক ওষুধ ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের নামে এ ভৌতিক বিলটি তৈরি করেছেন স্থানীয় বিদ্যুৎ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। সংযোগ না থাকলেও ওই বিলে ০২২৮০৮ মিটার নম্বরের বিপরীতে বর্তমানে ব্যবহৃত ইউনিট ৭৮২০ দেখানো হয়েছে।
ওষুধ ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল বলেন, আমার দোকানে বিদ্যুতের কোনো সংযোগ নেই, কখনোই ছিল না। তিন বছর আগে আমি সখীপুর বিদ্যুৎ কার্যালয়ে বিদ্যুতের সংযোগ চেয়ে ওই কার্যালয়ে আবেদন করেছিলাম। সংযোগ খরচের জন্য এ এলাকায় নিয়োজিত লাইনম্যান ফারুক হোসেন আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকাও নিয়েছিল। সংযোগ না পেয়ে গত এক বছর আগে ওই কার্যালয়ে ঘুরাফেরা বন্ধ করে দিয়েছি ও ১০ হাজার টাকার মায়াও ছেড়েছি। হঠাৎ এ মাসে আমার নামে ৩৮ হাজার ৭১ টাকার বিল পেয়ে আশ্চর্য হলাম। আমি মোমবাতি জ্বালিয়ে দোকান চালাই, আর সংযোগ ছাড়াই ৩৮ হাজার ৭১ টাকার বিদ্যুৎ বিল! এ কোন দেশে বাস করছি ?
ওই এলাকায় বিদ্যুতের বিল বিতরণকারী মাহবুব বলেন, প্রকৃতপক্ষেই মোস্তফার ওষুধের দোকানে বিদ্যুতের কোনো সংযোগ নেই। তবু অফিস থেকে পাঠানো বকেয়া বিলের কাগজটি মোস্তফার হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
মিটার রিডার মো. মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাঠ পর্যায়ে বিদ্যুতের বিল বিতরণ ও মিটার দেখে ইউনিট সংগ্রহকারীদের গাফলতির কারণে হয়তো ওই ব্যক্তি সংযোগ পায়নি। যে কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জানতে চাইলে সখীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।