ব্রাজিলের শুরুটা অনেক সুন্দর হলেও শেষটি ছিল ভয়াবহ। দ্বিতীয়ার্ধে পুরো গেইম ছিল সুইসদের দখলে। ব্রাজিল গর্জিয়াস কিন্তু সুইজারল্যান্ড ছিল সাধারণের মধ্যে গর্জিয়াস! সুইজারল্যান্ডের জন্য যদিও এইটা একটা বিজয়ই বলা চলে। তবে, পুরো ম্যাচে নেইমার যত পরিমাণ ফাউল দেয়া হয়েছে সেটা আসলেও বলা বাহুল্য। এদিকে, সদ্য নিজের ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন নেইমার।
তবে, তার এই ইনজুরির সুযোগটা ভালোই কাজে লাগিয়েছিল সুইসরা। বিশ্বকাপে গত ২০ বছরে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার হয়েছেন ব্রাজিলীয় তারকা। কাল পুরো ম্যাচে দশ-দশবার ফাউলের শিকার হয়েছেন নেইমার। ইনজুরি থেকে ফেরা খেলোয়াড়েরা এমনিতেই একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। নেইমারও নিশ্চয়ই ছিলেন। পুরো ম্যাচেই নেইমারকে আটকে রাখার দায়িত্ব মনে হয় নিয়েছিলেন সুইস মিডফিল্ডার ভ্যালন বেহরামি। বার বার টেনে ধরে হলেও রুখে ধরা চেষ্টা করে গেছেন তিনি। যতগুলো বল বাতাসে ভেসে এসেছে, বেহরামি তার কোনোটাই নেইমারকে আয়ত্বে নিতে দেননি। ৪৪টি পাসের মধ্যে ৪১টিতে সফল হয়েছেন। ট্যাকল করেছেন ছয়টির মতো! ফাউল করেছেন চারবার, বল কেড়ে নিয়েছেন দুবার। বেহরামির পারফরম্যান্স দিয়েই বোঝা যায়, নেইমারকে আটকানোই ছিল সুইজারল্যান্ডের মূল পরিকল্পনা।
তবে যাই হোক, কোচকে এবার নেইমারকে নিয়ে সতর্ক হতেই হবে। কেননা নেইমার ছাড়া ২০১৪ সালের কথা তো সবারই মনে আছে। সেটা আর মনেই নাই করি। যার ব্যথা এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে ব্রাজিলিয়ানরা।