নিজস্ব প্রতিনিধঃ টাঙ্গাইলে সম্প্রতিক চলমান এইচ এস সি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ আহাদুল ইসলাম আসিফ (১৯) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ১২ সদস্যরা। শনিবার দিবাগত রাতে ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আমুলা দেহভরট্ট গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আমুলা দেহভরট্ট গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলাম এর ছেলে।
এ প্রসঙ্গে রোববার প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে টাঙ্গাইল র‌্যাব ১২ সিপিসি ৩ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম জানান, ২১ এপ্রিল শনিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আমুলা দেহভরট্ট গ্রামস্থ মোঃ আজাহার মিয়ার বাড়ীর দক্ষিণ দুয়ারি টিনের চৌচালা ঘরে অভিযান চালিয়ে চলমান এইচ এস সি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ আহাদুল ইসলাম আসিফ (১৯) কে প্রশ্নপত্র ফাঁসে ব্যবহৃত ০১ টি মোবাইল ফোন ও ১৫ টি প্রশ্নপত্রের স্ক্রীনশর্ট এর ছবি সহ গ্রেফতার করা হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে স্বীকার করে, সে মিথ্যা প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী গ্রুপের একজন সক্রিয় সদস্য। সুলতানা মারিন গ্রুপ হতে সাজেশন এবং প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দিবে এ শর্তে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে।
এ সময় তিনি আরো জানান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার চলমান এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। যাতে কোনভাবে আর প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে না পারে। তবে কিছু দূস্কৃতিকারী চক্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের পরিকল্পনা করছে। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টায় এই মিথ্যা প্রশ্নপত্র প্রস্তুত ও প্রকাশকারী চক্রের রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টারোধে র‌্যাব তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতিক চলমান এইচ এস সি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের বে কয়েকজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।