এম সাইফুল ইসলাম শাফলু : টাঙ্গাইলের সখীপুরে ধর্ষণের শিকার বড়চওনা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫) এখন সাড়ে চার মাসের অন্ত:সত্ত্বা। জোর পূর্বক ধর্ষণ, প্রাণ নাশের হুমকি, ধর্ষণের চিত্র ভিডিও ধারণ ও ওই স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা (গর্ভবতী) হওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে প্রতিবেশী দুই সন্তানের জনক আবুল হাসেম লিটন মিয়াকে (৪৫) একমাত্র আসামি করে সখীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এ মামলা করেন। শনিবার সকালে ওই মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে ও মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে জানা যায় , চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসের বিকেল বেলায় ওই স্কুল ছাত্রী (১৫) প্রতিবেশী আবুল হাসেম লিটনের বাসায় বেড়াতে যায়। বাসা ফাঁকা থাকায় জোরপূর্বক ওই মেয়েটি ধর্ষণ করে কৌসুলে লিটন তার মোবাইল ফোনে ধর্ষণের চিত্র ধারণ করে রাখে। পরে তাকে এ ভিডিও চিত্রটি সামাজিক যোগোযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ও ঘটনা প্রকাশ করলে তাঁর বাবা-মা ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গত সাত মাস ধরে ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আসছে লিটন। ঈদুল আজহার তিনদিন আগে হঠাৎ করে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে চিকিৎসক ওই মেয়েটি ১৯ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা (গর্ভবতী) বলে জানান। পরে মেয়েটি তাঁর পরিবারের কাছে ধর্ষণের সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, লিটনের বাবা কালিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় ছেলে লিটন গ্রামে নানা কেলেঙ্কারী ও বখাটেপনা করে বেড়ায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবুল হাসেম লিটন জানান, প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মেয়েটিকে আমি বিয়ে করেছি। সে আমার স্ত্রী।
মামলার বাদী ও মেয়ের বাবা বলেন, লিটন আমার মেয়ের জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি ওই অমানুষের ফাঁসি চাই।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার সকালে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আবুল হাসেম লিটনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলেছে।