নিজস্ব প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুরের হাতীবান্ধা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ১১৭০ টাকার খারিজে ৭ হাজার টাকা দিয়েও ৯ মাসে মিলেনি খারিজের কাগজ। এ বিষয়ে ‘দৈনিক আজকালের খবর’ পত্রিকার সখীপুর প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম নাহিদ টাকা নেওয়ার কথা জানতে চাইলে হাতিবান্ধা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ওই অফিস সহকারী হারুন সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
খোজ নিয়ে জানা যায়, সখীপুর উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের হতেয়া গ্রামের মো. হাকিম মিয়ার ছেলে মো. মিন্টু মিয়া উপজেলার খতিয়ান নং- ০৭, মৌজা হতেয়া, দাগ নং ৬২৩/৬২৪ এর ৬ শতাংশ ভূমির খারিজ করার জন্য অফিস সহকারী হারুনের কাছে তার চাহিদা মোতাবেক ৭ হাজার টাকা দেন। বিভিন্ন তালবাহানা করে দীর্ঘ নয় মাস কাটিয়ে দিলেও কাজের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় সাংবাদিক নজরুল ইসলাম নাহিদ এ বিষয়ে (২০ জুন) অফিস সহকারী হারুনকে খারিজের বিষয়ে জানতে চাইলে সে উত্তেজিত হয়ে ওই সাংবাদিকের সঙ্গে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
ভোক্তভোগি হতেয়া গ্রামের মিন্টু মিয়া বলেন, প্রায় ১০ মাস আগে ৬ শতাংশ জমি খারিজ করার জন্য হারুনকে ৭ হাজার দিয়েও খারিজের কাগজ দেই দিচ্ছি বলে নানা তালবাহানা করছেন।
এ ব্যাপারে হাতিবান্ধা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব বিমল চন্দ্র বলেন, ৬ শতাংশ ওই জমির খারিজের ফি হলো ১১৭০ টাকা এতে সর্বোচ্চ সময় লাগে পঁয়তাল্লিশ দিন। হারুন তার অফিসের অফিস সহকারী । তবে তিনি হারুনকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি অবগত নয় বলে জানান।